‘রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সই করিয়ে জুলাই সনদ অপবিত্র করা হয়েছে’
‘রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সই করিয়ে জুলাই সনদ অপবিত্র করা হয়েছে’: রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া
জুলাই সনদকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন—রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে জোরপূর্বক বা চাপ সৃষ্টি করে সই করানো হয়েছে, যা তারা “জুলাই সনদের অপবিত্রতা” বলে অভিহিত করছেন। এই ঘটনার পর নানা মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
অভিযোগ: সনদের মূল চেতনা নষ্ট করা হয়েছে
অভিযোগকারীরা বলছেন, জুলাই সনদ ছিল জাতীয় ঐকমত্যের প্রতীক। কিন্তু রাষ্ট্রপতির নাম ব্যবহার করে এতে সই করানোর মাধ্যমে সনদের নৈতিক মর্যাদা হ্রাস করা হয়েছে।
তাদের দাবি—
-
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সনদকে ‘সরকারি প্রক্রিয়া’ বানিয়ে ফেলা হয়েছে
-
রাষ্ট্রপতিকে চাপের মুখে রাখা হয়েছে
-
সনদের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
একজন দলীয় মুখপাত্র বলেন,
“জুলাই সনদ জনগণের দাবি ও আন্দোলনের ফল। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি ব্যবহার করে অপবিত্র করা হয়েছে।”
সরকারপক্ষের ব্যাখ্যা
অন্যদিকে সরকারপক্ষ এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে—
-
রাষ্ট্রপতির সই ছিল নিয়মের অংশ
-
সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে সই করা জরুরি ছিল
-
এতে সনদের মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে, কমানো হয়নি
সরকারপক্ষের এক নেতা বলেন,
“রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ব্যক্তি। তাঁর সই কোনো কিছু অপবিত্র করে না—বরং বৈধতা দেয়।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক আগামী দিনে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন,
-
সনদ নিয়ে এ ধরনের বিতর্ক ভবিষ্যত সংলাপকে কঠিন করে তুলতে পারে
-
বিরোধী দল এটি আন্দোলনের নতুন ইস্যু হিসেবে কাজে লাগাতে পারে
জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সামাজিকমাধ্যমেও বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অনেকেই রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন—এটি কেবল রাজনৈতিক প্রচারণা।
উপসংহার
জুলাই সনদকে “অপবিত্র” করার অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও সরব হয়ে উঠেছে। সামনে এই ইস্যুতে আরও বিতর্ক, আন্দোলন ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

No comments