শহীদ ওসমান হাদীর স্ত্রীর শেষ বিদায়: বিপদেও পর্দার হেফাজত যেভাবে করলেন
শোকের সাগরেও অটল পর্দা: শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রীর অনন্য দৃষ্টান্ত ও মুমিন নারীর শিক্ষা
মেটা ডেসক্রিপশন: শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেখতে এসে শোকের মুহূর্তেও যেভাবে পর্দা রক্ষা করলেন তাঁর স্ত্রী, তা আজ প্রতিটি মুসলিম নারীর জন্য প্রেরণা। 'রানিং পর্দা'র মাধ্যমে নিজেকে আড়াল করে তিনি প্রমাণ করলেন—পরিস্থিতি যাই হোক, আল্লাহর বিধান সবার উপরে।
ভূমিকা
বিপদ বা শোকের মুহূর্তে মানুষের ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হয়। জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সিপাহসালার ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির প্রয়াণে দেশ আজ শোকস্তব্ধ। তবে এই শোকের আবহ ছাড়িয়ে একটি বিশেষ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। সেটি হলো শহীদ হাদির স্ত্রীর পর্দা রক্ষা। জীবনের কঠিনতম সময়েও তিনি যেভাবে ইসলামের পর্দার বিধানকে আঁকড়ে ধরেছেন, তা বর্তমান সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণের সেই অনন্য দৃশ্য
গত [তারিখ] শহীদ ওসমান হাদির নিথর দেহ যখন হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, তখন তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন তাঁর সহধর্মিণী। তিনি যখন হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠবেন, তখন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। একদল সচেতন যুবক ও স্বেচ্ছাসেবক দুটি বড় 'রানিং পর্দা' (চলমান পর্দা) ব্যবহার করে চারপাশ থেকে তাঁকে আড়াল করে রাখেন।
লক্ষ্য একটাই—শোকাতুর এই বোনের ছবি যেন কোনো পরপুরুষের দৃষ্টিতে না পড়ে কিংবা কোনো ক্যামেরার লেন্সে বন্দি না হয়। এই 'পর্দা বেষ্টনী'র মাধ্যমেই তিনি নিরাপদে গাড়িতে গিয়ে বসেন।
বিপদেও কেন এই সতর্কতা?
একজন মুমিন নারীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর গায়রত বা আত্মমর্যাদাবোধ। শোকের মুহূর্তে অনেক সময় মানুষ ধৈর্য হারিয়ে ফেলে এবং পর্দার দিকে নজর থাকে না। কিন্তু শহীদ হাদির স্ত্রীর এই আচরণ প্রমাণ করেছে যে:
হুকুমের পরিবর্তন নেই: মানুষের জীবনে বিপদ আসতে পারে, স্বামী বা প্রিয়জন মারা যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া পর্দার বিধান অপরিবর্তিত থাকে।
সিফাতে মুমিনা: অস্থির হয়ে পর্দা নষ্ট করা বা লোক দেখানো আহাজারি করা ঈমানদার নারীর স্বভাব নয়। বরং ধৈর্যের সাথে শরীয়তের সীমানায় থাকাটাই প্রকৃত মুমিনের পরিচয়।
শিক্ষণীয় বার্তা: তিনি সমাজকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আধুনিকতার ভিড়েও ইসলামের মৌলিক বিধান পালন করা সম্ভব, যদি অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে।
আমাদের বোনদের জন্য শিক্ষা
আজকের যুগে যেখানে পর্দার বিধানকে সেকেলে মনে করা হয়, সেখানে এই ঘটনাটি একটি বিশাল চপেটাঘাত। ওসমান হাদির স্ত্রী আমাদের বোনদের শিখিয়েছেন:
১. পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
২. পর্দা কেবল পোশাকে নয়, বরং লোকচক্ষু থেকে নিজেকে আড়াল করার মানসিকতায়।
৩. বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং দ্বীনের ওপর অবিচল থাকাই প্রকৃত সফলতা।
উপসংহার
আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই বোনকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন এবং তাঁকে 'ইস্তাকামাত' বা দ্বীনের ওপর অটল রাখুন। শহীদ ওসমান হাদির মতো বীরদের পরিবার যেন এভাবেই ইসলামের ঝাণ্ডাকে সমুন্নত রাখতে পারে। আমীন।
একনজরে ব্লগ হাইলাইটস:
| মূল বিষয় | শহীদ হাদির স্ত্রীর পর্দা রক্ষা |
| পদ্ধতি | রানিং পর্দা (Running Curtain) ব্যবহার |
| বার্তা | চরম শোকেও পর্দার বিধান অলঙ্ঘনীয় |
| আদর্শ | মুমিন নারীর গায়রত ও আত্মমর্যাদা |
| দোয়া | আল্লাহ যেন তাঁকে ইস্তাকামাত দান করেন |
প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ (Hashtags):
#SharifOsmanHadi #IslamicModesty #HadiLegacy #MuslimWomen #Haya #Pardah #InspiringStory #InqilabMancha #শহীদ_ওসমান_হাদি #পর্দা #মুমিন_নারী #ইসলামিক_শিক্ষা #গায়রত


No comments