৮ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা
৮ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা
ভূমিকম্প: বাড়ছে শক্তিশালী কম্পন আশঙ্কা
বিশ্বজুড়ে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন, প্লেট টেকটনিক্সের চাপ বৃদ্ধি এবং সক্রিয় ফল্ট লাইনের অস্বাভাবিক নড়াচড়ার কারণে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন—আগামী সময়ে ৮ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটতে পারে। সাম্প্রতিক কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যায়, বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র ও সিসমোলজি বিশেষজ্ঞরা।
সতর্কতা কেন বাড়ছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে—
-
টেকটোনিক প্লেটের অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধি
-
হঠাৎ করে ছোট ছোট কম্পনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
-
সক্রিয় ফল্ট লাইনে ধারাবাহিক নড়াচড়া
-
ভূগর্ভের তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ
এগুলো বড় মাত্রার ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। যদিও নির্দিষ্ট সময় বা স্থান নির্ভুলভাবে বলা সম্ভব নয়, তবুও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষের সতর্কতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিতে কারা?
বিশ্বে বেশ কিছু এলাকা সবসময়ই ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিত। যেমন—
-
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চল
-
জাপান, চিলি ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূল
-
ইরান–তুরস্ক–সিরিয়ার মধ্য এশীয় ফল্ট জোন
-
নেপাল–ভারত–বাংলাদেশের হিমালয় ঘেঁষা অঞ্চল
এসব এলাকায় বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ কি ঝুঁকিতে?
বাংলাদেশ তিনটি সক্রিয় ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থান করায় দেশটি ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বিশেষ করে মেঘালয় ফল্ট, অসাম ফল্ট ও দাউকি ফল্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বড় মাত্রার কোনো কম্পন হলে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
প্রস্তুতিই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
বড় ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, কিন্তু ক্ষতি কমানো সম্ভব। এজন্য—
-
ভবন নির্মাণে সঠিক বিল্ডিং কোড মানা
-
পুরোনো স্থাপনা শক্তিশালী করা
-
জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা
-
পরিবার ও অফিসে ড্রিল অনুশীলন করা
-
ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে সে বিষয়ে সচেতন থাকা
এসব প্রস্তুতি প্রাণহানি কমাতে সবচেয়ে কার্যকর।
ভূমিকম্প সংবাদ, বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প, Bangladesh earthquake risk, tectonic plate pressure, সক্রিয় ফল্ট লাইন, ভূমিকম্প সতর্কতা।


No comments