বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কা ‘ভ্রান্ত ধারণা’—বলেন বিডা চেয়ারম্যান
বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কা ‘ভ্রান্ত ধারণা’—বিডা চেয়ারম্যান
দেশের সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক করিডোরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে যে নিরাপত্তা শঙ্কা তুলে ধরা হচ্ছে, তা ভ্রান্ত ধারণা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান। তাঁর মতে, আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিচালিত অপারেটর নিয়োগ দিলে বরং দেশের লজিস্টিক খাতে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
বিদেশি অপারেটর মানেই ঝুঁকি—এ ধারণা ভিত্তিহীন
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী বন্দর পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণ একটি স্বাভাবিক বিষয়। দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা থেকে ইউরোপ—বেশিরভাগ বন্দরেই আন্তর্জাতিক অপারেটর রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কঠোর নিরাপত্তা নিয়ম, মনিটরিং সিস্টেম এবং অডিট ব্যবস্থা বিদ্যমান, যা স্থানীয় ব্যবস্থাপনার তুলনায় আরও উন্নত।
দেশের অর্থনীতিতে সুযোগ তৈরি হবে
তিনি জানান, বিদেশি অপারেটররা কাজ শুরু করলে—
-
বন্দর পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি,
-
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সময়ের অপচয় কমবে,
-
ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাস পাবে,
-
রপ্তানি পণ্যের শিপমেন্ট আরও দ্রুত হবে,
ফলে দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য পরিবেশ উন্নত হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে বহুমাত্রিক নজরদারি
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সবসময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা—বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, নৌ নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দা ইউনিট—দ্বারা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষিত হয়। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও যোগ করেন, “বিদেশি অপারেটররা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে—এই ধারণা বাস্তবভিত্তিক নয়। বরং তারা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করে, যা দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করবে।”
স্বচ্ছ বিনিয়োগ পরিবেশ গড়তে সরকারের পদক্ষেপ
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাইছে। তাই আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ অপারেটর নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বিশ্বাস করেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো আসলে নতুন প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।


No comments