"ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোপন প্রতিরক্ষা চুক্তি"
ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সাম্প্রতিক এই চাঞ্চল্যকর খবরটি নিয়ে একটি বিস্তারিত SEO-Optimized Blog News নিচে দেওয়া হলো। এটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা পাঠকদের আগ্রহ ধরে রাখবে এবং তথ্যমূলক হবে।
ইসরায়েলের সাথে আমিরাতের গোপন ২৮ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি: তোলপাড় বিশ্বজুড়ে
মেটা ডেসক্রিপশন: ইসরায়েলি কোম্পানি এলবিট সিস্টেমসের সাথে ২.৩ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা) এক গোপন প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফরাসি সংবাদমাধ্যমের ফাঁস করা এই চুক্তির বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।
ভূমিকা
মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিয়ে এলো ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) মধ্যকার একটি বিশাল প্রতিরক্ষা চুক্তি। অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তির খবরটি সম্প্রতি ফাঁস করেছে ফরাসি অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট ‘ইন্টেলিজেন্স অনলাইন’। প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা) এই চুক্তিটি ইসরায়েলের সামরিক ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ঘটনা।
চুক্তির নেপথ্যে কী আছে?
গত নভেম্বর মাসে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমস (Elbit Systems) জানিয়েছিল যে, তারা একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকের সাথে বড় অংকের চুক্তি করেছে, তবে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার স্বার্থে তখন দেশটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সেই 'রহস্যময়' গ্রাহক আর কেউ নয়, স্বয়ং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৮ বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় আমিরাত ইসরায়েল থেকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করবে।
জে-মিউজিক প্রযুক্তি ও লেজার সিস্টেম
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তির একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এলবিট সিস্টেমসের বিখ্যাত 'জে-মিউজিক' (J-Music) এয়ারক্রাফট প্রোটেকশন সিস্টেম।
এই প্রযুক্তিটি মূলত বেসামরিক ও সামরিক বিমানকে সারফেস-টু-এয়ার (ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য) মিসাইলের হাত থেকে রক্ষা করে। এটি অত্যাধুনিক লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিমানের দিকে ধেয়ে আসা মিসাইলের সেন্সরকে অকেজো বা বিভ্রান্ত করে দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রযুক্তির কিছু অংশ ইসরায়েলি অনুমোদনে আমিরাতের অভ্যন্তরেই তৈরি করা হবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
এই বিশাল চুক্তির খবর সামনে আসতেই বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে গাজায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন চুক্তিকে ভালো চোখে দেখছে না মানবাধিকার সংস্থাগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং অক্সফাম এই চুক্তির সমালোচনা করে বলেছে, এর ফলে বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের পথ প্রশস্ত হতে পারে।
একনজরে প্রতিরক্ষা চুক্তির খুঁটিনাটি:
| বিষয় | বিস্তারিত তথ্য |
| অংশগ্রহণকারী দেশ | সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল |
| সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান | এলবিট সিস্টেমস (Elbit Systems) |
| চুক্তির আর্থিক মূল্য | ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা) |
| চুক্তির মেয়াদ | ৮ বছর |
| প্রধান প্রযুক্তি | জে-মিউজিক লেজার প্রোটেকশন সিস্টেম |
| প্রকাশকারী মাধ্যম | ইন্টেলিজেন্স অনলাইন (ফ্রান্স) |
উপসংহার
২০২০ সালের ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর পর থেকে ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত গভীর হচ্ছে। এই গোপন প্রতিরক্ষা চুক্তি কেবল দুই দেশের সামরিক সহযোগিতাকেই শক্তিশালী করছে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন এফ-৩৫ (F-35) যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আমেরিকার সাথে আমিরাতের দীর্ঘসূত্রতার মাঝেই ইসরায়েলের সাথে এই বিশাল চুক্তিটি সম্পন্ন হলো।
প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ (Hashtags):
#UAEIsraelDeal #DefenseNews #ElbitSystems #MiddleEastPolitics #ArmsDeal #MilitaryTechnology #UAE #Israel #JMusicSystem #BreakingNewsBengali
আমি কি এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে তা নিয়ে একটি বিশদ বিশ্লেষণমূলক পোস্ট তৈরি করে দেব?
আমিরাত-ইসরায়েল ২.৩ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তির গুরুত্ব ও প্রভাব
এই ভিডিওটি দেখলে আপনি আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সম্পর্কের গভীরতা এবং এই চুক্তিটি কেন বর্তমান সময়ে এত গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।


No comments