Header Ads

Header ADS

লন্ডনে শান্তি আলোচনায় বসছেন স্টারমার–জেলেনস্কি, দুই ইস্যুতে অচলাবস্থা


 

লন্ডনে শান্তি আলোচনায় বসছেন স্টারমার–জেলেনস্কি, দুই ইস্যুতে অচলাবস্থা

ইউক্রেন যুদ্ধের অচলাবস্থা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠককে আগামী দিনের শান্তি–প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।

দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই বড় সংকট

শান্তি আলোচনার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত হলেও দুইটি ইস্যুতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে—

  1. দখলকৃত অঞ্চলগুলো নিয়ে মতবিরোধ

  2. নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ভবিষ্যৎ কাঠামো

ইউক্রেন চাইছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোটের স্পষ্ট সমর্থন এবং দখলকৃত অঞ্চল ফেরত। অন্যদিকে, মধ্যস্থতাকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সমাধানের প্রস্তাব নিয়ে এগোতে চাচ্ছেন।

ইউরোপের ভূরাজনীতিতে লন্ডন বৈঠকের গুরুত্ব

যুক্তরাজ্য বরাবরই ইউক্রেন সরকারের অন্যতম প্রধান সমর্থক। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্টারমার এই বৈঠককে নিজের কূটনৈতিক পরীক্ষার প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকদের মতে—

  • এই বৈঠকের ফলাফল ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় কোন পথে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলতে পারে।

জেলেনস্কির বার্তা: ন্যায়সঙ্গত শান্তি ছাড়া বিকল্প নেই

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জনগণের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত না হলে তিনি কোনো আপস করবেন না। চলমান যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় একটি কার্যকর শান্তিচুক্তি ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

স্টারমার সরকারের অবস্থান

নতুন সরকার যুদ্ধ সমাধানে “কূটনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা” নিতে আগ্রহী। লন্ডন আলোচনার আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে—

  • মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি

  • সামরিক সহায়তার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

  • অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সহযোগিতা
    এসব বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসবে।

শান্তি–পর্বের পরবর্তী ধাপ কী?

যদি লন্ডন বৈঠকে অচলাবস্থা দূর হয়, তবে

  • একটি খসড়া শান্তিচুক্তি তৈরি হতে পারে

  • আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আনুষ্ঠানিক আলোচনার নতুন ধাপ ঘোষণা করতে পারেন

  • রাশিয়ার সঙ্গে পরোক্ষ যোগাযোগও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে

উপসংহার

লন্ডনে স্টারমার–জেলেনস্কি বৈঠক শুধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নয়—এটি ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক শান্তি–প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হতে পারে। দুই ইস্যুর অচলাবস্থা দূর করতে পারলে যুদ্ধের দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা আরও জোরালো হবে।

No comments

Powered by Blogger.