বহু বছরের অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হবে: তারেক রহমান
বহু বছরের অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হবে: তারেক রহমান
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক অকার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, বহু বছরের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এখন এ দুর্নীতিবিরোধী লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বচ্ছতার অভাব ও জবাবদিহির সংকটে ভুগছে। এর ফলে দুর্নীতির শিকড় শুধু বিস্তৃতই হয়নি, বরং বিভিন্ন খাতে দৃঢ় প্রভাব ফেলেছে। এসব কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এখন শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং কাঠামোগত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তারেক রহমান মনে করেন, টেকসই সংস্কার ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী যেকোনো উদ্যোগ সফল হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি দপ্তর, অর্থনৈতিক খাতসহ সব জায়গায় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, সেবা ও প্রশাসনিক কাজে দুর্নীতির প্রভাব সরাসরি অনুভব করছে। তাই দুর্নীতি নির্মূল করা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়; এটি দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন ও জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হলে প্রশাসনিক কাঠামোকে পুনর্গঠন এবং নজরদারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তি-নির্ভর স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং দুর্নীতির অভিযোগে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি জনমতেও রয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, সমান আইনের প্রয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।


No comments