Header Ads

Header ADS

"বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের হুঙ্কার: ইউক্রেন ভূখণ্ডে রাশিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত"


 

ইউক্রেন ভূখণ্ড নিয়ে কোনো আপস নয়: বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারি

মেটা ডেসক্রিপশন: ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রশ্নোত্তর পর্বে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। শান্তি আলোচনার জন্য ইউক্রেনকে তার ৪টি অঞ্চল ও ন্যাটোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে।1 জানুন বিস্তারিত।


ভূমিকা

মস্কোর ঐতিহাসিক গোস্তিনি দভর প্রদর্শনশালায় অনুষ্ঠিত হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বার্ষিক সংবাদ সম্মেলন ও প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান 'Results of the Year 2025'2 আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর ২০২৫) প্রায় চার ঘণ্টা স্থায়ী এই ম্যারাথন অনুষ্ঠানে পুতিন বিশ্ব রাজনীতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার অনড় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কিয়েভ বা পশ্চিমা বিশ্ব যে প্রস্তাবই দিক না কেন, রাশিয়া তার দখলকৃত ‘ঐতিহাসিক ভূমি’ থেকে এক চুলও নড়বে না।

ইউক্রেন ভূখণ্ড নিয়ে অনড় পুতিন

অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে শান্তি পেতে হলে অবশ্যই দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়া—এই চারটি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি দাবি করেন, এই অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অংশ এবং এগুলো নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। পুতিন আরও বলেন:

“ইউক্রেনের বর্তমান নেতৃত্ব ভূমি সংক্রান্ত কোনো ছাড় দিতে চায় না, কিন্তু তাদের বুঝতে হবে যে যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার অবস্থান এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।”

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ও পুতিনের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলা শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে পুতিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা নমনীয় হলেও মূল শর্তে অনড় থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের শান্তি স্থাপনের ইচ্ছাকে তিনি স্বাগত জানান, তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কোনো সমঝোতা মস্কো গ্রহণ করবে না। পুতিনের মতে, ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটো (NATO) যোগদানের ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে এবং দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।3

ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা ও ‘ডাকাতি’ প্রসঙ্গ

পুতিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ইউক্রেনকে দেওয়ার পরিকল্পনা আসলে ‘প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি’।4 তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার অর্থ যারা চুরি করবে, তাদের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে এবং প্রয়োজনে রাশিয়া এর কঠিন প্রতিশোধ নেবে। তিনি ইউরোপের বর্তমান রাজনৈতিক এলিটদেরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।

যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি

পুতিন দাবি করেন, বর্তমানে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে এবং যুদ্ধের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ এখন সম্পূর্ণ রাশিয়ার হাতে। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়া আরও বড় সামরিক সাফল্য পাবে। কিয়েভ যদি শীঘ্রই আলোচনায় না আসে, তবে রাশিয়া আরও গভীরে অভিযান চালাবে বলেও তিনি পরোক্ষভাবে হুমকি দেন।


পুতিনের বার্ষিক ভাষণের মূল পয়েন্টগুলো:

বিষয়পুতিনের অবস্থান
ইউক্রেন ভূখণ্ডদখলকৃত ৪টি অঞ্চল ও ক্রিমিয়া নিয়ে কোনো আপস হবে না।
ন্যাটো সদস্যপদইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।
শান্তি আলোচনারাশিয়ার দেওয়া শর্ত মেনেই শান্তি সম্ভব।
জব্দকৃত সম্পদইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিকল্পনাকে 'ডাকাতি' হিসেবে আখ্যা।
সামরিক লক্ষ্যবিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

উপসংহার

পুতিনের এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, ২০২৬ সালেও ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ, যদি না পশ্চিমা বিশ্ব বা ইউক্রেন বড় কোনো ছাড় দেয়। এই অনড় অবস্থানের ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ভূ-রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ (Hashtags):

#Putin #RussiaUkraineWar #AnnualPressConference2025 #VladimirPutin #BreakingNews #Russia #Ukraine #WorldPolitics #পুতিন #রাশিয়া_ইউক্রেন_যুদ্ধ #মস্কো #আন্তর্জাতিক_সংবাদ


আমি কি এই বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের এআই (AI) এবং রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে দেওয়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলো নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট তৈরি করে দেব?

No comments

Powered by Blogger.