📰 রাজধানীতে টানটান উত্তেজনা: একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগ, রাতভর পুলিশের তল্লাশি অভিযান

 

ঘটনায় কি ঘটেছে

• গত রাতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট (ঢাকা) এলাকায় রাত ৯টার দিকে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনুসন্ধান অনুযায়ী মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা হেলমেট পরে এসে ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। 

• এরপর রাত প্রায় ১০টার পর হাতিরঝিল রেইনবো ক্রসিং ও কারওয়ান বাজার এলাকায় আরও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

• একাধিক যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে — সন্ধ্যার পর থেকে ভোর করতে পরীক্ষিত বিভিন্ন এলাকায়। যেমন যাত্রাবাড়ী-রায়েরবাগ, উত্তরা-সোনারগাঁও জনপদ, বসুন্ধরা গেট এলাকায় বাসে আগুন লাগে। 

• খবর অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় ১৫টি স্থানে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণ এবং গত দুই দিনে ৯টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ হয়েছে।

---

আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া ও অভিযান

• ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, এসব ঘটনা ‘জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই’ পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে বলে তারা ভাবছে। 

• প্রাসঙ্গিকভাবে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট এবং টহল জোরদার করেছে পুলিশ। צוו উল্লেখ করেছে, “শঙ্কার কিছু নেই, আইনবহায়ক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।”

• গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে— উদাহরণস্বরূপ, ১ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে গ্রেপ্তার সংখ্যা ৪৯ জন বলেছে ডিএমপি। 

• এছাড়া বাসে আগুন দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত গঠন করা হয়েছে। 

---

বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়

• ঘটনাগুলো একাধিক এলাকা এবং একাধিক ধাপের: ককটেল বিস্ফোরণ → বাসে অগ্নিসংযোগ → রাতভর তল্লাশি।

• পুলিশ মনে করছে, এইসব ঘটনা নাশকতা, বা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টার অংশ হতে পারে। 

• এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত কোন ব্যক্তি বা দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে—তথ্য অনুসন্ধান চলছে সিসিটিভি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেসাধারণ মানুষকে পুলিশ ও প্রশাসন পরামর্শ দিয়েছে: ইর­reগুলার মিছিল বা জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা, সন্দেহভাজন বিষয় দেখলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে জানানো।