ট্রাইব্যুনালের রায় ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন শেখ হাসিনা।
ট্রাইব্যুনালের রায় ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি শেখ হাসিনার
ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাম্প্রতিক রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি অভিযোগ করেন, রায়টি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে দেওয়া হয়েছে, যা দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি জনমানুষের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিচারিক প্রক্রিয়া কখনোই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত বা রায় দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর পেছনে একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
তার ভাষায়, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।”
দলের অবস্থান
আওয়ামী লীগ নেতারাও এ বিষয়ে সমালোচনামুখর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হলে তা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। দলের একাধিক নেতা বলেন, রায়ের সময়কাল ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা যায়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড়
রায় ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো নিয়ে দেশে আগেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়ের অভিযোগ উঠেছে, তবে এবারের ঘটনাটি আরও বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
তাদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় এমন রায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে এবং জনমনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দেয়।
বিশ্লেষকদের অভিমত
বিচার বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে আদালতের স্বাধীনতা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। আবার অন্য অংশ মনে করেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি থাকলে রাজনীতিবিদরা এ ধরনের অভিযোগ তোলা স্বাভাবিক।
তারা বলেন, বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রক্রিয়া ও রায়ের স্বচ্ছতা আরও বাড়াতে হবে।


No comments