Header Ads

Header ADS

শীতে কেন সর্দি–কাশি বাড়ে: প্রতিকার ও প্রতিরোধে ৭টি পুষ্টিগুরুত্বপূর্ণ টিপস


 

শীতে কেন সর্দি–কাশি বাড়ে: প্রতিকার ও প্রতিরোধে ৭টি পুষ্টিগুরুত্বপূর্ণ টিপস

ব্লগ নিউজ রিপোর্ট

শীত এলেই সর্দি–কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি কিংবা হালকা জ্বরে ভোগেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা মৌসুমে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভাইরাসের সক্রিয়তা কিছুটা বেড়ে যায় এবং একই সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে দ্রুত ছড়ায়।

এ সময় ঘরের ভেতরে সবাই বেশি সময় কাটায়, জানালা–দরজা বন্ধ থাকে—এর ফলে বাতাসে ভাইরাসের ঘনত্ব বাড়ে এবং সহজে একে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক আবহাওয়া নাক–গলার মিউকাসকে শুষ্ক করে তোলে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।


🔍 শীতে সর্দি–কাশি বাড়ার মূল কারণ

  • তাপমাত্রা কমে ভাইরাস বেশি সক্রিয় হওয়া

  • ঘরের ভেতর গাদাগাদি করে থাকা

  • বাতাস শুষ্ক হয়ে নাক–গলার সুরক্ষা কমে যাওয়া

  • ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া

  • দূষণ ও ধুলাবালির প্রভাব বেড়ে যাওয়া


🥗 প্রতিকার ও প্রতিরোধে ৭টি পুষ্টিগুরুত্বপূর্ণ টিপস

১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান

লেবু, আমলকি, কমলা, পেয়ারা ও কিউই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর।

২. ভিটামিন ডি বজায় রাখুন

শীতে রোদ কম পাওয়া যায়। তাই ডিম, দুধ, মাছ ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ইমিউনিটি শক্তিশালী থাকে।

৩. জিঙ্ক যুক্ত খাবার

ঝিনুক, বাদাম, ডাল, মুরগির মাংস—জিঙ্ক ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৪. আদা–মধু–লেবুর মিশ্রণ

গলা ব্যথা, সর্দি ও কাশি কমাতে আদা ও মধুর গুণ অনেক। নিয়মিত উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শীতে অনেকেই পানি কম খান। কিন্তু শরীর হাইড্রেট থাকা সব ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি।

৬. দই ও প্রোবায়োটিক খাবার

পাচনশক্তি শক্তিশালী রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোবায়োটিক অত্যন্ত উপকারী।

৭. গরম স্যুপ ও হালকা গরম পানীয়

মুরগির স্যুপ, সবজি স্যুপ কিংবা হালকা গরম লেবুপানি—শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি–কাশির উপসর্গ কমায়।


✔️ শেষ কথা

শীতে সর্দি–কাশি বাড়া স্বাভাবিক হলেও পুষ্টিকর খাদ্য, নিয়মিত পানি পান, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং ঠান্ডা–গরমের তারতম্য এড়ালে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
আপনি চাইলে এ বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে টিপস পোস্ট, ফেসবুক ক্যাপশন, বা ইনফোগ্রাফিক–স্টাইল লেখাও বানিয়ে দিতে পারি।

No comments

Powered by Blogger.