Header Ads

Header ADS

যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ অভিভাবকের একজনের দাবি—সন্তান অনলাইনে ব্ল্যাকমেইলের শিকার


 

যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ অভিভাবকের একজনের দাবি — সন্তান অনলাইনে ব্ল্যাকমেইলের শিকার 

সংক্ষিপ্ত সার কথা: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের প্রতি ১০ অভিভাবকের একজন (≈১০%) বলছেন—তাদের নিজ সন্তানের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্ল্যাকমেইলের (sextortion/online blackmail) ঘটনা ঘটেছে। গবেষণাটি জাতীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থা NSPCC দ্বারা পরিচালিত এবং এতে পরিবারগুলোতে অনলাইন ব্ল্যাকমেইলের বাস্তবতা, অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় সমাধানগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। 


কী বলা হলো (প্রধান তথ্য)

  • প্রায় একে–দশম অংশ অভিভাবক বলছেন—তাদের নিজ সন্তান অনলাইনে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছে। গবেষণায় 2,558 জন পিতামাতার/অভিভাবক/পরিচর্যাকারীর উত্তর বিশ্লেষণ করা হয়েছে

  • ১ মধ্যে ৫ জন (২০%) অভিভাবক জানেন কোনো একজন শিশু-কিশোরকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে দেখে বা সহায়তা করেছেন — এ থেকে বোঝা যায় সমস্যাটি একক ঘটনা নয়, এটি সম্প্রসারিত। 

  • জাতীয় অপরাধ সংস্থার (NCA) রিপোর্ট অনুযায়ী—যুক্তরাজ্যের পুলিশ-ফোর্সগুলো মাসে ১১০-এ বেশি ‘child sextortion’ বা অনুরূপ রিপোর্ট পাচ্ছে, যা বাস্তবভাবে সমস্যার মাত্রা নির্দেশ করে। 


পরিস্থিতির বিশ্লেষণ — কেন সমস্যাটা বাড়ছে?

  1. কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম ও এনক্রিপশন: অপরিচিত ব্যক্তি আদি পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমিং চ্যাটে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে কথাবার্তা এনড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে সরিয়ে নেয় — ফলে ট্রেস করা কঠিন হয়। এতে অপরাধীরা দ্রুত এবং আক্রমণাত্মকভাবে শিকার নির্ধারণ করতে পারে।

  2. এআই ও ডিপফেক প্রযুক্তি: ইমেজ/ভিডিও-মানিপুলেশন (deepfake) থেকে শুরু করে অপ্রচলিত কৌশল ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা মিথ্যে বা কৃত্রিম ‘প্রমাণ’ তৈরি করছে — যা চাপ বাড়ায় এবং ভুক্তভোগীকে চুপ করিয়ে রাখে। গবেষকরা বলছেন, AI-সহায়তায় এই অপরাধ দ্রুত জটিল হচ্ছে। 

  3. শর্ট-টুথ, হান্টিং গ্রুপস ও আন্তর্জাতিক গ্যাং: অনেক কেসে অপরাধীরা আন্তর্জাতিক বেসিং থেকে পরিচালিত — পুলিশের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন বাড়ায়। 


অভিভাবকদের আচরণ ও প্রতিবন্ধকতা

  • গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৪০% অভিভাবক সন্তানদের সঙ্গে অনলাইন ব্ল্যাকমেইল সম্পর্কে দুর্লভ বা কখনওই আলোচনা করেন না — কারণে: লজ্জা, পরিস্থিতি খারাপ করে দেবার ভয়, অথবা ছেলেমেয়েকে ভীতি দেখানোর ভয়। এর ফলে সমস্যা লুকে থাকা এবং সাহায্য না পাওয়াই বড় বিপদ।

  • অনেক অভিভাবক মনে করেন সরকার ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না — প্রায় এক-তৃতীয় অংশ এই মত দিয়েছে। ফলে অভিভাবকদের উপর বোঝা বেশি পড়ছে। 


বাস্তব ঘটনা ও প্রভাব (সংক্ষিপ্ত)

  • রিপোর্টে বহু কেসে বলা হয়েছে, আক্রান্ত কিশোররা লজ্জার কারণে বা অপরাধীর চাপেই সায় না বলে চুপ থাকে — ফলে মানসিক চাপ, অকারণে আত্মপরিচ্ছেদ, এবং মারাত্মক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মত ফলাফলের আশঙ্কাও দেখা গেছে। কিছু ট্র্যাজিক কেস-রেকর্ড আছে যা এই সমস্যার মানবিক ভয়াবহতা তুলে ধরে।


করণীয় — অভিভাবক, স্কুল, প্ল্যাটফর্ম ও নীতিনির্ধারকদের জন্য সুপারিশ

অভিভাবক/পরিচর্যাকারী:

  • নিয়মিত, লজ্জাহীন ও বয়মতেই উপযুক্ত আলোচনা চালান — “বিবরণ করো না তবে বলো, আমরা তোমার পাশে আছি” এমন সুর নিশ্চিত করুন। 

  • সন্তানের অনলাইন ব্যবহার দেখুন: অ্যাপ-পার্মিশন, বন্ধুত্ব তালিকা, ইন-অ‍্যাপ চ্যাট—সব কিছুতে হঠাৎ পরিবর্তন, গোপনখুলনা লক্ষ করলে আলাপ করুন।

  • কখনোই ব্ল্যাকমেইলার কাছে অর্থ না পাঠাতে বলুন; প্রথমে নিরাপত্তা ও রিপোর্টিং-পথ গ্রহণ করা ভালো।

স্কুল ও স্থানীয় কমিউনিটি:

  • অনলাইন-সেফটি পাঠ্যকে শক্ত করুন: কিশোরদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা—কী শেয়ার করবেন না, কীভাবে রিপোর্ট করবেন, কাকে বলবেন।

  • কাউন্সেলিং সার্ভিস ও ‘রিপোর্টিং সেফ স্পেস’ তৈরি করুন যাতে শিশু লজ্জা ভাঙতে পারে। 

টেক কোম্পানি ও প্ল্যাটফর্ম:

  • প্ল্যাটফর্মগুলোকে বিল্ড-ইন নিরাপত্তা, দ্রুত রিপোর্টিং ফ্লো এবং প্রান্তিক বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য প্রাথমিক প্রবিধান লাগাতে হবে — NSPCC-এর রিপোর্ট এই দাবিকে জোরালো করেছে। 

সরকার ও আইন প্রয়োগ:

  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপরাধীদের উৎস চিহ্নিত ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; পাশাপাশি শিক্ষা ও কনসিউমার-অ্যাকশনের জন্য কার্যকর নীতি নেওয়া জরুরি।


দ্রুত টিপস — যদি সন্দেহ হয় আপনার সন্তানকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে

  1. শান্ত থাকুন; আতঙ্ক দেখালে শিশুটি আরও লজ্জা পেতে পারে।

  2. প্রমাণ সংরক্ষণ করুন (চ্যাট, স্ক্রিনশট, নম্বর ইত্যাদি) — তবে নিজে তদন্তে নেমে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

  3. প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করুন ও প্রয়োজন হলে পুলিশ-/NCA-র কাছে জানান। CEOP বা স্থানীয় শিশু সুরক্ষা লাইন থেকেও সাহায্য পাওয়া যায়।


পর্যাপ্ত সূত্র ও আরও পড়ুন

  • NSPCC: A collective concern: parent and carer views on the online blackmail of children and young people (Nov 2025). 

  • The Guardian: One in 10 UK parents say their child has been blackmailed online, NSPCC finds (Nov 2025). 

  • FastCompany: Parents say online blackmail of kids is rising — and AI is making a bad problem worse (Nov 2025)

  • NCA / news reporting on monthly sextortion case volumes. 


আপনি চাইলে আমি এই নিবন্ধ থেকে (১) SEO-ফ্রেন্ডলি টাইটেল + মেটা-ডেস্ক্রিপশন, (২) ওয়েব-প্রকাশের জন্য শিরোনামগত সাবহেডার্সসহ সম্পূর্ণ ব্লগ-ইউজারড্রাফট, এবং (৩) সোশ্যাল-শেয়ারিং কপিও তৈরি করে দেব — আপনার ওয়েবসাইটের টোন (formal/informal) ও চাহিদা বললেই চালিয়ে দিচ্ছি।

নীচে এই সংবাদ-রিলেটেড উৎসগুলোর একটি দ্রুত ন্যাভলিস্ট দেওয়া হলো — আরো রেফারেন্স হিসেবে দেখতে পারেন:

আরও পড়ুন: NSPCC ও মিডিয়া রিপোর্টসমূহ





No comments

Powered by Blogger.