Header Ads

Header ADS

জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা মামলায় দুই সাক্ষীর জবানবন্দি


 

জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা মামলায় দুই সাক্ষীর জবানবন্দি — বিস্তারিত সংবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় বুধবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার আদালতে দুই জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে এই অগ্রগতি অভিযোগ ও তদন্ত উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আদালতে জবানবন্দি দেওয়া দুই সাক্ষীর মধ্যে রয়েছেন জোবায়েদের ছোট ভাই সৈকত হোসেন এবং স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওয়াহিদুর রহমান—যারা তাদের যে-বিস্তারিত পর্যালোচনা আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছেন তা মামলার চিত্রকে আরও পরিস্কার করতে সহায়ক বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদসংস্থাগুলি। 

সৈকত হোসেন জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন—ঘটনার দিন (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিটের দিকে জোবায়েদের এক সহপাঠিনী তাঁকে ম্যাসেঞ্জারে একটি বার্তা পাঠায় এবং বলেছিল, ‘কে জানি মাইরা ফেলছে’—এর পরের যে কথাবার্তা ও ঘটনাবলী সম্পর্কে সৈকত আদালতে যা বর্ণনা করেছেন তা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে। এই বক্তব্যটি BDNews24-এর প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ প্রেক্ষাপটে লক্ষ্যণীয় যে মামলার শুরুতেই পুলিশ একটি ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ রূপায়ণ করেছিল, কিন্তু আশা করা হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জবানবন্দি পর্ব তদন্তকে আরো স্বচ্ছ করবে। আগে থেকে আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকলেও অভিযোগকারীর পরিবার ও কিছু শিক্ষকের কাছে পুলিশের প্রাথমিক ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না—এ যেখানে পরিবারের আশঙ্কা ও দাবিও গুরুত্ব পাচ্ছে।

বর্তমান অবস্থায় তদন্তকারী সংস্থা ও রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে যে আরও সাক্ষীর জবানবন্দি বাকি রয়েছে এবং সব সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলার পরবর্তী ধাপে (যুক্তিতর্ক ও রায়সম্ভাব্যতার প্রস্তুতি) এগোয়া হবে। আদালত প্রক্রিয়া ও তদন্তের গতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলেন, আদালত ব্যবস্থা ও তদন্ত একসাথে এগোলে ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

মামলা সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক পয়েন্ট

  • ঘটনার দিন ও সময় সম্পর্কিত প্রাথমিক বার্তালাপের বিবরণ—সৈকতের জবানবন্দি অনুযায়ী (১৯ অক্টোবর বিকেল ৫:৫৮)। 

  • কয়েকজন আসামির স্বীকারোক্তি ইতিমধ্যেই আদালতে থাকায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান। 

  • পরিবারের অন্যমত ও কিছু বিশ্লেষকের অভিযোগ যে পুলিশি ব্যাখ্যা পুরো চিত্রটি ব্যাখ্যায় অপ্রতুল বা সন্দেহজনক।

পরবর্তী করণীয়

আদালতের পরবর্তী শোনাবানী ও বাকি সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের তারিখে শ্রোতা সমাজ ও পরিবার—উভয়ই খেয়ালে রাখছেন। তদন্ত ও আদালত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে কাজ চালানোর ওপর অনেকে জোর দিচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.